রাশিয়া সোমবার মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ‘অবাঞ্ছিত সংস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি দেশটিতে সংস্থাটির সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়া সংগঠনটির বিরুদ্ধে ‘রুশবিরোধিতার কেন্দ্র’ ও ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনেছে।
মস্কো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভিন্নমত ও সমালোচনার বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন বাড়িয়েছে এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে বহু আন্তর্জাতিক নাগরিক সমাজ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে।
রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেল লন্ডনভিত্তিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ‘কিয়েভ শাসনব্যবস্থার সহযোগীদের অর্থায়নে বৈশ্বিক রুশবিরোধী প্রকল্প তৈরির কেন্দ্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
এ ছাড়া প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় বলেছে, ‘সংস্থাটি অঞ্চলে সামরিক সংঘাত বাড়ানোর জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করছে, ইউক্রেনের নব্য-নাৎসিদের অপরাধকে যৌক্তিকতা দিয়েছে, তাদের জন্য তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে এবং আমাদের দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকে সমর্থন করছে।’
কিয়েভ, পশ্চিমা দেশগুলো ও স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা বারবার মস্কোর দাবিকে ভিত্তিহীন ক্রেমলিন প্রচারণা হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে, যেখানে রাশিয়া বলছে, তারা ইউক্রেনকে ‘নাৎসিমুক্ত’ করতে লড়াই করছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের ওয়েবসাইটে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে ‘আগ্রাসনের যুদ্ধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
একই সঙ্গে তারা বলেছে, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের অধিকার গুরুতরভাবে সীমিত রয়ে গেছে’, যেখানে ধর্মীয় গোষ্ঠী, শিশু ও এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন পক্ষের ‘অযৌক্তিক নিপীড়ন’ তুলে ধরা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ‘ভিন্নমতাবলম্বীরা অযৌক্তিকভাবে মামলার মুখোমুখি হয়েছে, অন্যায্য বিচার, বড় অঙ্কের জরিমানা ও দীর্ঘ কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
এদিকে ‘অবাঞ্ছিত’ হিসেবে ঘোষিত সংগঠনগুলো রাশিয়ায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। এ ধরনের সংগঠনের সঙ্গে ‘সহযোগিতা’ করার অভিযোগে যে কারো জরিমানা বা দীর্ঘ কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে পারে।